হবিগঞ্জের মাধবপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে আদালতে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার স্বামী। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এর আগে একই দিন সকালে রাজন আদালতে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে বলে জানায় পুলিশ।
নিহত ওই নারী শাপলা আক্তার (২৫)। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার রাজন মিয়ার স্ত্রী। দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসার কাজে মাধবপুর থানার করড়া গ্রামে বসবাস করতেন ওই দম্পতি।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক কলহ নিয়ে স্বামী রাজন মিয়া ও স্ত্রী শাপলা আক্তারের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এরই জেরে গত রাতে রাজন মিয়া তার স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর তিনি মরদেহ পাশের একটি বালুর স্তুপের ভেতরে লুকিয়ে রাখেন।
পরদিন সকালে রাজন নিজেই আদালতে উপস্থিত হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালত তাৎক্ষণিকভাবে রাজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাধবপুর থানা পুলিশকে ঘটনাস্থলে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় মাধবপুর থানা পুলিশ করড়া গ্রামের ওই বালুর স্তুপ থেকে শাপলা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর রাজন মিয়াকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ উল্ল্যা বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Leave a Reply